সিরাজগঞ্জে তাড়াশে নানা আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
শাহাদত হোসেন টুটুল
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকালে সুবিশাল র্যালি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে উপজেলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।এর পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে মো: ইকবাল হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে ও শামীম আহম্মেদ আকাশের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ।
বক্তব্যে সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অতীত থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন দূঃসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদান চির স্মরণীয়। বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বুকে রক্ত দিয়ে তা প্রমান করেছে। বাংলাদেশের একমাত্র পুরাতন ও ইতিহাস ঐতিহ্যর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ। ৭৪ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসকের পদত্যাগে বাধ্য করা এবং বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, ৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।তিনি আরো বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ছাত্রলীগ গড়ে তুলতে ছাত্রলীগ নেতাদের দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে হবে। কোন অবস্থায় রাজাকারের সন্তান যেন ছাত্রলীগের কর্মী হতে না পারে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতা কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মোজাম্মেল হক মাসুদ, মোক্তার হোসেন মুক্তা, মো: আনিছ প্রধান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় আনোয়ার হোসেন খাঁন ও মর্জিনা ইসলাম প্রমূখ।এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী-সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারিখ: ০৪/০১/২০২২